নিউজ ডেস্ক :: কক্সবাজার জেলায় ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ।জেলায় মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত ভেঙ্গে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬৮ জনের শরীরে মিলল মরণব্যাধী করোনার ভাইরাস। যার ফলে এক ধাক্কায় জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬১৯ জন। বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছিল ৫৯ জন।
শুক্রবার বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া ।
তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পিসিআর ল্যাবে ২৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৭৫টি নমুনার ফল আসে পজিটিভ। এর মধ্যে নতুন ৭১টি। আর সদরের সর্বাধিক ৫৪জন ও ১ রোহিঙ্গা সহ জেলায় শনাক্ত ৬৮ জন। যা কক্সবাজার জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।
আক্রান্তদের মধ্যে সদরের সর্বোচ্চ ৫৪ জন, রামুর-১জন, চকরিয়ার-১ জন, উখিয়ার ৮জন টেকনাফের-২ জন, মহেশখালীর-১ এবং রোহিঙ্গা রয়েছে ১জন। এছাড়া লোহাগাড়ার ২ জন এবং লামার-১ জন নতুন পজিটিভ অছেন। বাকি ৪ জন ফলোআপ। পূর্বের আক্রান্ত। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করেও তাদের শরীরে করোনা পজিটিভ আসেন।বাকি ১৮৭ জনের নেগেটিভ আসে।
এনিয়ে জেলায় ৫৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়াল ৩০ রোহিঙ্গা সহ মোট ৬১৯ জন। এর মধ্যে মাত্র শেষ ১১দিনেই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৭ জন।
জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার জেলায় করোনায় সবচেয়ে আক্রান্ত বেশি সদর উপজেলায়। এখানে মোট আক্রান্ত ২৫৯ জন। এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে চকরিয়া উপজেলা ১৫৫ জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উখিয়া।এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৬ জন।এর পরে রয়েছে পেকুয়ায় ৩৯ জন,মহেশখালীতে ৩১ জন,রামুতে ২২ জন,টেকনাফে ২০ জন,কুতুবদিয়ায় ৩ জন।এছাড়া শরনার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা রয়েছে ৩০ জন।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন,২৮মে পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন(নিভৃতবাস) ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ১০০ জন কভিড-১৯ রোগী। এছাড়া রোহিঙ্গা আইসোলেশন ইউনিটেও ৩০জন ভর্তি রয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১৬ জন। হোম কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ২৫৫জন। আর মারা গেছেন ৯ জন।
পাঠকের মতামত: